1. newsjibon@gmail.com : adminsp :
শাল্লায় সরকারি ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে! - সুনামগঞ্জ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন

শাল্লায় সরকারি ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে!

পাবেল আহবেদ, শাল্লা
  • রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৭ বার পঠিত
পাবেল আহবেদ, শাল্লা
Spread the love

শাল্লায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হতদরিদ্রদের মধ্যে সরকারি ভিজিএফ’এর চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উটেছে। এমন অভিযোগ উটেছে উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের ৬,৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে ভিজিএফ’র চাল বিতরণকারীদের বিরুদ্ধে। এসব ওয়ার্ডগুলোর চাল দেওয়া হচ্ছে উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের শাসখাই বাজারে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কমকর্তা জয়ন্ত কুমার দাসের উপস্থিতিতেই চাল ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে। একজনকে কয়েকজনের ভূয়া নামে চাল দেওয়া হচ্ছে। পাঁচ জনের টিপসই দিচ্ছে একজনে। স্থানীয়রা বলছে তিন-চারটা চালের বিল একেকজনকে দেওয়া হচ্ছে। ওজনে কম দিলে সমস্যা কিয়ের (কিসের)।
স্থানীয় রাকেশ চন্দ্র দাস বলেন আমি গরীব মানুষ, হাওরে আমার এক শতক জমিও নেই! কিন্তু আমি চাল পাচ্ছি না। তিনি একেকজনকে তিনটা চারটা বিল দেওয়া হচ্ছে! কেউ কোন প্রতিবাদ করছেন না! মহললাল দাস বলেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাউকে চাল দেওয়া হচ্ছে না! ইতা চলবোই, চলতাছেও (চলতেছে)। তিনি বলেন ওত আমি আইছি দিলে দিবো না দিলে বাদ। বেশি কথা বললে আমাদেরকে গ্রেফতারের ভয় দেখায় বলে জানান তিনি। অন্যদিকে তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চৈত্র মাসের অভাবে পেটের ক্ষুধায় জ্বালায় চাল না পেয়ে, চালের জন্য হন্য হয়ে ঘুরতে দেখা গেছে অনেক গরীব,অসহায়, বৃদ্ধ নারী-পুরুষকে। চাল ওজনে কম দেওয়া বিষয়ে সেখানে উপস্থিত ২নং হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সমীর চন্দ্র সরকারের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি রাগান্বিত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন ওজনে কম দেওয়া, না দেওয়া, এখানে কি হচ্ছে না হচ্ছে এসব দেখার দায়িত্ব আমার নয়! তাহলে আপনি এখানে কেন আসছেন, অবশ্যই আপনার একটি দায়িত্ব রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আপনি ভিডিও করতেছেন,আপনি এখান থেকে চলে যান! আপনি বারেবারে অযথা আমাকে বিরক্ত করছেন। অন্যদিকে যাদেরকে চাল দেওয়া হচ্ছে তাদের একটি অংশের চাল দোকানদার ও স্থানীয়দের কাছে সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করে দিচ্ছে। জিঙ্গেস করা হলে তারা জানান চাউল ভাল না,তাছাড়া চাল তাদের দরকার নেই, সেজন্য বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শতে বাহাড়া ইউপির মির্জাকান্দা গ্রামের একজন চাল ক্রেতা বলেন জনপ্রতি ১০ কেজি চাল দেওয়ার কথা সেখানে ৮ কেজি দেওয়া হচ্ছে এবং বিলপ্রতি ২’শ টাকা দিয়ে আমরা কিনে নিচ্ছি। চাল মানুষ কেন বিক্রি করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যারা পাওয়ার কথা তারা পাচ্ছে না! যাদের চাল দরকার নেই তারাই চাল পেয়ে মানুষের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। এদিকে হবিবপুর ইউনিয়ন ছাড়াও উপজেলার বাহাড়া, শাল্লা ও আটগাঁও ইউনিয়নেও চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উটেছে। এবং চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে বেশকিছু ভিডিও পাওয়া গেছে। ভিডিওগুলো ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রীতিমতো ভাইরালও হয়েছে। নিয়মনীতির কোন ধরনের তোয়াক্কা না করেই সরকারি বস্তা সহ সম্পূর্ণ বস্তা অনেককে দিতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয় যারা চাল পেয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে সেই চালগুলো কিনে নিতে দেখা গেছে পাশ্ববর্তী আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কিছু লোককে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আলাউদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন আমি বিভাগীয় কমিশনারের মিটিংয়ে আছি। মিটিংয়ের পরে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Spread the love
এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন

© All rights reserved © সুনামগঞ্জ প্রতিদিন
Theme Customized BY LatestNews
error: Content is protected !!