জেলায় হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা শীর্ষক সুনামগঞ্জে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিরের আয়োজনে ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রমাসনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম।
জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, জেলা তথ্য অফিসার মো. আব্দুছ ছাত্তার, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ,সাধারন সম্পাদক রওনক আহমদ, দৈনিক সুনামগঞ্জ খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক পংঙ্কজ কান্তি দে, দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান পীর, সাধারণ সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরী, জেলা রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি কুলেন্দু শেখর দাস,বাসস প্রতিনিধি আল হেলাল, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার এড. খলিল রহমান, গাজী টিভির প্রতিনিধি ও দৈনিক সুনামগঞ্জ সময়ের সম্পাদক ও প্রকাশক সেলিম আহমদ তালুকদার,একাত্তর টিভির প্রতিনিধি শামস শামীম,সময় টিভির প্রতিনিধি হিমাদ্রি শেখর ভদ্র, এনটিভির প্রতিনিধি দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের প্রতিনিধি এ আর জুয়েল, আর টিভির প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার ও শহীদনুর আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম বলেছেন যেভাবে বাংলাদেশে উইঁপোকার মতো সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়েছে তাদের সমাজের মানুষের কল্যাণের পরিবর্তে অপকর্ম হচ্ছে। বর্তমান সমাজে কিছু বারান্দায় ঘুরেও সাংবাদিক,ফেইসবুক ও অনলাইন টিভি ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা গলায় কার্ড ঝুলিয়ে চাদাঁবাজি করছেন তারাই মূলত হলুদ সাংবাদিকতার মধ্যে পড়েন। এমন অপকর্মে সাংবাদিকতার মান নিয়ে যখারীতি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই পেশায় জ্ঞান অর্জণের একটা বিরাট সুযোগ রয়েছে এই পেশায় শিক্ষিত,মার্জিত,ভদ্র ছেলেদের আসা প্রয়োজন। কাজেই সবাইকে নীতিমালা অনুসরণ করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বলেন, অনেকে মনে করেন সাংবাদিকতার আইডি কার্ড গলায় বা কোমরে ঝুলিয়ে দিলেই সাংবাদিক। কার্ড ঝুলিয়ে সাংবাদিকতা আসল সাংবাদিকতা নয়। আইডি কার্ড হলেই সাংবাদিকতার পর্ব শেষ নয়। সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করার পর হবেন একজন সাংবাদিক।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি করা, হলুদ সাংবাদিকতা করা, হলুদ সাংবাদিকতা করায় প্রকৃত সাংবাদিকতাকে কলংকিত করা। যারা সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি করে, হলুদ সাংবাদিকতা করে, তারা কেউ আইনের উর্ধে নয়। এসব সাংবাদিকদের ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকে আইনের হাতে তোলে দেন।
তিনি বলেন, গ্রাম-গঞ্জে টিভি সাংবাদিকতার নামে হাতুরি সাংবাদিকতা করছেন। তারা হাতুরি সাংবাদিক নামে পরিচিত। এই হাতুরি সাংবাদিকের সংখ্যা এখন বেড়ে গেছে। কেউ আবার রঙ রস করে সংঘাতিক বলে আখ্যা দেন। এটা হচ্ছে কলংকিত নামধারী সাংবাদিকদের কারণে।
তিনি আরও বলেন, একজন সাংবাদিক সমাজের দর্পন। আলো ছড়ায়। কিন্তু প্রদীপের নিচের মতো নিজের নিচে অন্ধকার থাকে। এটা কেউ আলোকিত করতে পারে না।
কর্মশালা শেষে অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণকারি সাংবাদিকদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন