শিক্ষাক্ষেত্রে সকল নৈরাজ্য ও বৈষম্য নিরসনে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) সুনামগঞ্জ জেলা শাখা ১০ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে। কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিজন কুমার সিংহ’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মরকলিপিতে উল্লেখ করা হয়-
১৯৭২ সালের সংবিধানের আলোকে অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদী জ্ঞান ও কর্মমুখী একটি শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন ও তা নিশ্চিতকরণে ২০১০ সালে ঘোষিত জাতীয় শিক্ষানীতি পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে।
ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয় বাজেটে দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দিতে হবে।
বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত সরকারিকরণ নয়, শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণ চাই।
শ্রেণিকক্ষে ছাত্র শিক্ষকের আদর্শ অনুপাত ৩০:১ এ পরিণত করতে হবে। পাশাপাশি গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা ও মানোন্নয়নের জন্য ধারাবাহিক ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক- কর্মচারীদেরও শতভাগ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান করতে হবে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের ন্যায় অবসর সুবিধা প্রদান করতে হবে, তবে এই বিধান না হওয়া পর্যন্ত অবসরে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর তহবিলের টাকা প্রদান করতে হবে।
২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে বেসরকারি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি করতে হবে।
শিক্ষা প্রশাসনে বেসরকারি শিক্ষকদের আনুপাতিক হারে পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
অনতিবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ, বদলি ও পদায়নের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশনের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি কার্যকর করতে হবে।
শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর শারীরিক-মানসিক নিপীড়ন ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে জেলা সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শুভঙ্কর তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি সহকারী অধ্যাপক রামানুজ রায় সাজু, সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মো. জামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক দুলাল মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক রজত কান্তি রায়, অর্থ সম্পাদক প্রভাষক কাঞ্চন বৈদ্য, সদস্য সহকারি গ্রন্থাগারিক স্বপন রায় প্রমুখ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন