দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার লাথিতে আঘাতে প্রাণ গেছে চাচার। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ফতেপুর (চৌধুরী পাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইস্কান্দার আলী(৭০) উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের মৃত হারিছ উল্ল্যাহর ছেলে।
হত্যাকান্ডের মুলহুতা রুসমত আলীর ছেলে এখলাছ মিয়া(৪০)কে সুনামগঞ্জ থেকে আটক করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পতেপুর গ্রামের হারিছ উল্লার ছেলে ইস্কন্দর আলীর সাথে তার ভাতিজা একলাছ মিয়ার সাথে বাড়ির জায়গার সীমানা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আদালতে একা ধিক মামলা ও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুকুর পাড়ের গাছ কেটে সাবাড় করে ভেকু দিয়ে বিরোধপূর্ণ পুকুরের পাড়-সীমানা কাটতে শুরু করেন রুসমত আলীর পুত্র এখলাছ মিয়া,তিলুরাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুস ছোবহানের ছেলে আক্কাস আলী ও তার লোকজন । এতে বাধা দেন চাচা ইস্কান্দার আলী। পরে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন আমজদ আলী, আব্দুল গফুর,আব্দুল মতিন। দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় ইস্কান্দর আলীকে এখলাছ মিয়া লাথি মেরে ফেলে দেন। এবং তার নেতৃত্বে মারধর করেন আক্কাস, গফুর ও অন্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই ইস্কান্দর আলী নিহত হন।
নিহতের পুত্রবধূ ইয়াছমিন বলেন, তাঁর শশুর ভেকু দিয়ে মাটি কাটা ও গাছ কাটতে বাধা দেওয়ার কারণে তাঁর শশুরকে হত্যা করেছেন এখলাছ মিয়া, আক্কাস মিয়া,আব্দুল গফুরসহ তাদের সহযোগীরা এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)বদরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় এখলাছ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। নিহত ইস্কান্দর আলীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল রঞ্জয় চন্দ্র মল্লিক,থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শামছউদ্দিন খান,এসআই সম্রাজ মিয়া, আতিয়ার রহমান,লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক জহিরুল ইসলাম,সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মাষ্টার, সমাজসেবক জাকির হোসেন প্রমুখ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন