তাহিরপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় টাঙ্গুয়ার হাওর দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট ও প্রতিবেশগত বিপন্ন এলাকা। এ হাওরেই ইলেকট্রিক ফিসিং ইনভার্টারের সাহায্যে রাতের আঁধারে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে।
এক শ্রেণীর অসৎ মাছ শিকারিরা আল্ট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিসিং ইনভার্টারের সাহায্যে রাতের আঁধারে মাছ শিকার করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
প্রতিবেশগত বিপন্ন এলাকা ঘোষিত টাঙ্গুয়ার হাওরে এ ধরনের মেশিন দিয়ে মাছ শিকার দেশীয় মাছের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করেন স্থানীয় মৎস্যজীবী ও সচেতন মহল।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,১২ভোল্ট ডিসি ব্যাটারির সাথে আল্ট্রাসনিক ইনভার্টার সংযোগ করে ৬৮ হাজার থেকে কয়েক কোটি ওয়াট বিদ্যুতের শক তৈরি করে। এই বৈদ্যুতিক শক মেশিনের ক্ষমতা অনুযায়ী ৫ ফুট থেকে ৪০ ফুট বৃত্তের মধ্যে কয়েক সেকেন্ড আঘাত করে এবং একই পরিমান জায়গায় থাকা জীবন্ত ছোট বড় সব ধরনের মাছ সহ জলজ প্রাণীকে অজ্ঞান করে ফেলে। দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওর ও আশপাশের বিল ও হাওরে আল্ট্রাসনিক ইনভার্টার বা ফিসস্টুনা ব্যবহার করে ছোট বড় মাছ শিকার করা হচ্ছে।
জানা গেছে,আলট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিসিং ইনভার্টার বা ফিস শক ইলেকট্রিক মেশিন চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ শিকারের জন্য আমদানি করে থাকে। এছাড়াও দেশীয় ভাবেও মাছ শিকারের জন্য এ ধরনের মেশিন তৈরি হচ্ছে। বিদেশ থেকে আমদানীকৃত মেশিন গুলো প্রকারভেদে ৯ হাজার টাকা থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা দামের হয়ে থাকে। মাছ শিকারের জন্য আল্ট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিসিং ইনভার্টার অবৈধ নয় বলে মেশিন আমদানীকারক ও ব্যবসায়ীরা মনে করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েক জন মৎস্যজীবী জানান,টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রায় প্রতিদিন গভীর রাতে স্থানীয় আমানীপুর,রংচী, রুপনগরসহ কয়েকটি গ্রামের এক শ্রেণীর অসৎ মাছ শিকারি নৌকা নিয়ে হাওরের মধ্যে ইলেকট্রিক শক মেশিনের সাহায্যে পানির মধ্যে বৈদ্যুতিক শক দেয়। এ সময় পানির মধ্যে সাঁতার কাটা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বৈদ্যুতিক শকের আঘাতে অজ্ঞান হয়ে পানিতে ভেসে ওঠে। মাছ শিকারিরা তখন মাছগুলো জালির সাহায্যে পানি থেকে তুলে আনে।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান রনি জানান, এ ধরনের বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে বলে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন