ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউপির জাউয়া বাজারে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন উপজেলা যুবলীগ নেতা আজির উদ্দিন ও তার চাচাত ভাই নাজিম উদ্দিন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার ১৮ই মার্চ রাতে আহত আজির উদ্দিন এর ভাই তোফায়েল আহমদ বাদী হয়ে উপজেলার পাইগাঁও গ্রামের আশর আলীর ছেলে হুমায়ুন আহমদ (২৫),একই গ্রামের আক্কল আলীর ছেলে আবুল হাসনাত (৩২), আবুল হোসেন (২৮), ছৈফুল্লাহর ছেলে কয়ছর আহমদ (৪০), আক্কল আলীর ছেলে শিপন আহমদ (২২), আব্দুল হেকিমের ছেলে জুনেদ আহমদ (২৩), মনোহর আলীর ছেলে জসিম (৩৫), আব্দুল আলীর ছেলে আবুল হাবিব (২২), আক্কল আলী (৬০) পিতা অজ্ঞাত, মৃত. মখন আলীর ছেলে আনফর আলী (৫৫)কে আসামী করা হয়। ছাতক থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং- ১২/৪৪ তাং ১৬.গ৩.২০২৪ ইং।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ই মার্চ দুপুরে আসামী আবুল হাবিব গাড়ি দিয়ে পাইগাঁও ব্রীজের সম্মুখের রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করেন। এই নিয়ে আসামী আবুল হাবিবের সাথে আহত আজির উদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় উপস্থিত লোকজন বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে মিমাংসা করে দেন। আসামী আবুল হাবিব মনে চাপা ক্ষোভ নিয়ে আহত আজির উদ্দিনকে শায়েস্তা করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। ঘটনার দিন দুপুর বেলা আজির উদ্দিন বিশেষ কাজে নিজ বাড়ি হতে স্থানীয় জাউয়া বাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে গরুহাটা সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ডের রাস্তায় পৌছালে দুপুর আনুমানিক ১টার সময় সন্ত্রাসী আব্দুল হাবিব এর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামীরা পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে আজির উদ্দিন ও নাজির উদ্দিনের উপর দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র রামদা ও দা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এতে আজির উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন গুরুতর আহত হয়। তাদেও চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে আহতদের অবস্থা আশংষ্কাজনক বলে জানা গেছে। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুন্নার নির্দেশে তাংক্ষনিক ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসলাম উদ্দিন। এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ আলম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন