1. newsjibon@gmail.com : adminsp :
খামারখালসহ পাঁচ খালের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু - সুনামগঞ্জ প্রতিদিন
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

খামারখালসহ পাঁচ খালের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু

  • শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩
  • ৯০ বার পঠিত
Spread the love

প্রতিদিন প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জ শহরে অবৈধ ভাবে দখল হওয়া খামারখালসহ ৫টি খালের মাঝে নির্মিত অবৈধ ভবণ ও স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে সুনামগঞ্জ পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে শুরু হওয়া এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত্ ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালমা পারভীন। সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কামারখালের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এরপর এই খালের উপর নির্মিত অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলতে থাকে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম। অভিযানে পৌরসভার বিপুল সংখ্যক কর্মীদের পাশাপাশি অর্ধশত পুলিশ ও কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক অভিযান মনিটরিং করেছেন।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখতে এই খালগুলো উদ্ধার সুনামগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তারপরও খালগুলো দখলমুক্ত করতে কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। পরে পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার দায়ের করা রিটের শুনানিতে খাল উদ্ধারের আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা আতাহার বলেন, খালগুলোতে স্থাপনা নির্মাণ করায় শহরের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। যার কারণে বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন জায়গা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এই খালগুলো উদ্ধার জরুরি ছিল। অবশেষে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। পর্যায়ক্রমে সকল খাল দখল মুক্ত করা প্রয়োজন।
জুনেদ আহমদ বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই আমার ঘরে পানি ঢুকে। বৃষ্টি হলে ঘুম থেকে উঠেই পানির সাথে যুদ্ধ করতে হয়। আমরা শহরবাসী বিরক্ত জলাবদ্ধতার জন্য। এই খাল উচ্ছেদ আমাদের মনে শান্তিতে বসবাসের আশা জাগাচ্ছে।
পৌরসভার মেয়র নাদের বখত্ বললেন, শহরে জলাবদ্ধতার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ছোট ছোট ড্রন দিয়ে পানি নিস্কাশন হয়ে এর সমাধান হচ্ছে না। পৌর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এই খালগুলো উদ্ধার জরুরি হয়ে পড়েছে। এটি সুনামগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। এ ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনাও রয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা আজ থেকে প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি। এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা খালের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার করে শহরের পানি নিষ্কাশনের কার্যক্রম পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, শহরে পানি নিষ্কাশনের সকল খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। অবৈধ দখলদার যারাই হোন না কেন, একজনকে ছাড় দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ পৌরসভায় বৃষ্টির পানি শহর থেকে নামার গুরুত্বপূর্ণ সাতখালের পাঁচটিরই কোনো অস্তিত্ব নেই। অবৈধ দখলদার কবলে ছিল এসব খাল। খালের উপর ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এক সময়ের বড় বড় খাল ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীরা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেন। মধ্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ খামারখাল ৮৪ জন প্রভাবশালীর দখলের বিষয়টি চিহ্নিত হলেও খাল উদ্ধারে অগ্রগতি ছিলনা। এ কারণে পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত ছোট ছোট ড্রেন এখন আর কোনো কাজে আসছে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ড্রেন ও নর্দমার পানি ঘরে ঢুকছে। এখন বৃষ্টি হলেই সুনামগঞ্জ পৌরসভার বেশ কিছু এলাকা থাকা কঠিন হয়ে যায়। সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্রায় দুই লাখ মানুষকে এমন বিপজ্জনক অবস্থা থেকে বাঁচাতে ইতোপূর্বে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) উচ্চ আদালতে মামলা করে। আদালত সম্প্রতি সুনামগঞ্জ পৌর শহর ও আশপাশের এলাকার পাঁচটি খালের দখলদারদের পূর্ণ তালিকা করে তাদের উচ্ছেদের আদেশ দেন। একই সঙ্গে খালগুলোর সীমানা নির্ধারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


Spread the love
এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন

© All rights reserved © সুনামগঞ্জ প্রতিদিন
Theme Customized BY LatestNews
error: Content is protected !!