দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে নদীতে ঝাপিয়ে পড়ছে শিশুরা। সূর্যের উদয় থেকেই তেজদীপ্ততা শুরু হয়, সেই থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তীব্র তাপদাহে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে জনজীবন। শুধু তাই নয় রাতেও ভ্যাপসা গরমে হাঁপিয়ে উঠছে মানুষ। দিনের বেলা রোদের তাপের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মেও বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না অনেকেই।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে যেমন আগুনের তাপ। কোথাও স্বস্তি নেই। মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। টানা কয়েকদিনের তাপদাহে জনজীবনে নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্ভোগ। দিনে যেমন রোদের খরতাপ তেমনি রাতেও বইছে গরম হাওয়া। বর্ষার পরিবর্তে প্রখর তাপদাহের অস্বস্তিতে পড়েছে সব পেশার মানুষেরা। দিনের বেলায় শিশুরা গরম থেকে বাঁচতে জলকেলিতে মত্ত থাকছে।
এদিকে, তাপমাত্রা আরও এমনই থাকবে বেশ কয়েকদিন। কমার পরিবর্তে আরও দু’ এক ডিগ্রি বাড়তে পারে এমনটি জানিয়েছে আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদফতর।
আজ সুনামগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী আরও কয়েকদিন এ গরমের তীব্রতা থাকবে। এক বা দুই ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তেও পারে। এরপর এ মাসের শেষের দিকে বৃষ্টিপাত হতে পারে।’এছাড়া উপজেলা সদর হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, দুর্বিষহ গরমে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা অসুখ ও অসুস্থতায়। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছে সবাই। এর ভেতরে গরমে বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অধিকাংশই হিট স্ট্রোক, ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা ও গরমে অসুস্থ হওয়া রোগী।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. আবু সালেহীন খান বলেন, ‘গত কয়েকদিন যাবত গরমের কারণে শিশুদের চাপ বেড়েছে। গরমে অসুস্থ হওয়া শিশুদের চিকিৎসা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন শিশুদের পানিশূন্যতা ও ডায়রিয়া বেশি হচ্ছে। এ সময় শিশুরা পানি শূন্যতা রোগে সবচেয়ে বেশি ভোগে তাই প্রচণ্ড গরম কিংবা রোদ থেকে যতটুকু সম্ভব শিশুদের নিরাপদে রাখতে হবে পাশাপাশি বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে।’
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন