ছাতক প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হয়েছে।পবিত্র রমজান এবং ঈদের পর-পরই প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার এমন ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সে সুবাধে ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে নেমে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যান পদে অন্তত অর্ধ ডজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম মুখে-মুখে শোনা যাচ্ছে। আবার অনেকেই প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা দিয়ে মাঠ পর্যায়ে নিরবে নির্বাচনী প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তুলে নেয়ায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ছাতকে আওয়ামীলীগ ছাড়া এখন পর্যন্ত বিএনপি,জাতীয় পার্টী বা জামাত সমর্থিত অন্য কোন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে সম্ভাব্য তালিকায় যাদের নাম শুনা যাচ্ছে এবং এবং যারা রয়েছেন নির্বাচনী তারা সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় যাদের নাম লোকমুখে শোনা যাচ্ছে এবং কিছু প্রচারণার কাজে রয়েছেন তাদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফজুলর রহমান। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মনিরজ্ঞাতি গ্রামের বাসিন্দা।
এ ছাড়া ছাতক পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালীন পৌর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহিদ মজনু চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি প্রচার হতে দেখা গেছে। এবং তিনি বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও করেছেন। পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও শহরের তাতিকোনা এলাকার বাসিন্দা তিনি।
বর্তমান সহ টানা দু’মেয়াদে নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত মোঃ লাহিন মিয়া এবার চেয়ারম্যান পদে লড়বেন বলে জানা গেছে। তার কর্মী-সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি তুলেছেন। বিষয়টি নির্বাচনী মাঠে প্রচারও করে যাচ্ছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এবং দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চৌকা গ্রামের বাসিন্দা।
সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী
ও আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কিরন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বিগত ৫ বছর ধরে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। সাবেক ছাত্র নেতা রফিকুল ইসলাম কিরণ গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সুহিতপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুন্দর আলীর পুত্র।
বিগত উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন আওলাদ আলী রেজা। তিনি গোবিন্দ গঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি ছিলেন। তিনি ও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে বেশ আলোচনা শুনা যাচ্ছে। আওলাদ আলী রেজা গোবিন্দগঞ্জ- সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সুহিত পুর গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলা নির্বাচনে আলোচনায় উঠে এসেছেন আরো এক সম্ভাব্য তরুন প্রার্থী। তিনি হলেন সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের ভাতিজা ইশতিয়াক রহমান তানভির। বয়সে তরুণ হলেও ইতিমধ্যেই তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তার সমর্থকরা প্রার্থীতার কথা ইতিমধ্যেই প্রচার করে যাচ্ছেন। তিনি পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও শহরের মন্ডলীভোগ এলাকার বাসিন্দা।
সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় তালিকায় আরো রয়েছেন নোয়ারাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও নোয়ারাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল আবেদীন আবুল।তিনি ইউনিয়নের ছনখাইড় গ্রামের বাসিন্দা। জাউয়াবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোরাদ হোসেনের নামও আলোচনায় রয়েছে। তিনি জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের বাসিন্দা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন