1. newsjibon@gmail.com : adminsp :
৭ই মার্চের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার তাগিদ দিলেন পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী - সুনামগঞ্জ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন

৭ই মার্চের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার তাগিদ দিলেন পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী

প্রতিদিন প্রতিবেদক
  • শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ২০৭ বার পঠিত
৭ই মার্চের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার তাগিদ দিলেন পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী
Spread the love

আগামী ৭ মার্চের মধ্যে জেলার সবগুলো হাওরের হাওররক্ষা বাঁধ (পিআইসি) এর কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি। বুধবার (১৫ ফেব্রæয়ারি) রাত ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রতিনিধি,সরকারি কর্মকর্তা,সাংবাদিক ও সুধীজনের সাথে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ তাগিদ প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এডভোকেট, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মল্লিক সাঈদ মাহবুব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুশী মহন সরকার,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ,পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, যুদ্ধকালীন কমান্ডার এডভোকেট আলী আমজাদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান,তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুনাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল,সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু,সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বাসস প্রতিনিধি আল-হেলাল,সাংবাদিক পংকজ দে,সাংবাদিক শাহজাহান চৌধুরী ও বিন্দু তালুকদার প্রমূখ। সভায় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের মুখে স্থায়ী হাসি দেখতে চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত হাওড় অঞ্চলের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন। হাওড়ের কৃষকের ফসল ঘরে তুলে দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কৃষি ও কৃষকবান্ধব সরকার প্রধান হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বসেরা। বুধবার (১৫ ফেব্রæয়ারী) সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার নজরখালী বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি বাংলাদেশি খাদ্য ও কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়। দেশের কৃষিতে হাওরের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। তিনি হাওরের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করছেন। এনামুল হক শামীম বলেন, কৃষি উন্নয়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে প্রায় ২ কোটি কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড দেওয়া হয়েছে। কৃষককে মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সারের দাম কয়েক দফা কমিয়ে বর্তমানে সারের দাম ইউরিয়া ২২ টাকা কেজি, টিএসপি ২২ টাকা কেজি, ডিএপি ১৬ টাকা, এমওপি ১৫ টাকা কেজি। আর বিএনপির সময়ে ছিল টিএসপি ৮০ টাকা, এমওপি ৭০ টাকা, ডিএপি ৯০ টাকা, ইউরিয়া ২০ টাকা কেজি। সারে অন্যান্য বছরে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হলেও এ বছর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারের দাম বেড়ে গেছে, ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। তারপরও সারের কোনো ঘাটতি নেই। কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর কয়েক লাখ কৃষককে বিনামূল্যে ভালো মানের উন্নত জাতের বীজ, সার ও অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে যার আওতায় ৫০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ। ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হচ্ছে। নড়িয়া উপজেলাসহ সারা বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়নের জন্য প্রায় ৫০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে যার আওতায় বিনামূল্যে বীজ, সার, ফলের চার, সেচ যন্ত্র বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে ধান উৎপাদনে ৩য়, সবজি উৎপাদনে ৩য়, আম উৎপাদনে ৭ম, কাঁঠাল উৎপাদনে ২য়, আলু উৎপাদনে ৭ম, পেয়ারা উৎপাদনে ৮ম, ফসলের জাত উদ্ভাবনে প্রথম, পাট উৎপাদনে ২য়। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে ৩য়, ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। বর্তমান সরকার কৃষি গবেষণা জোরদার করছে। ফলে ধান, গম, পাট, সবজি ও ফলের কয়েক শত উন্নত জাত উদ্ভাবন ও কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ হয়েছে। বর্তমানে শুধুমাত্র ধানের উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাত রয়েছে ১০০ টির উপরে। এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার ৮০ ভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। উপমন্ত্রী আরও বলেন, হাওড় অঞ্চল রক্ষায় স্থায়ী প্রকল্প করা হচ্ছে। আর নদীভাঙন ঠেকাতে সারা দেশে বিভিন্ন স্থায়ী প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও সারাদেশে নদীভাঙন এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে স্থায়ী বাঁধ করা হচ্ছে, বাঁধ প্রশ্বস্থকরণ হচ্ছে, বনায়নও করা হচ্ছে। যেখানে যা করা প্রয়োজন, তাই করা হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সুনামগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছেন। ২৬ জন কর্মকর্তা নিয়মিত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আগামী ৭ মার্চ এখানেই অফিস করবেন। কোনো গাফিলতি সহ্য করা হবে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মল্লিক সাঈদ মাহবুব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুশী মহন সরকার, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ প্রমূখ। পরে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সূধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা করেন।


Spread the love
এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন

© All rights reserved © সুনামগঞ্জ প্রতিদিন
Theme Customized BY LatestNews
error: Content is protected !!