
বিশেষ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পালিয়ে বিয়ের পরদিন গোসল করতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে মাকসুদুর রহমান জিমাম (২০) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার পান্ডারগাও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের আকবর আলীর পুকুরের পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। ওই দিন তার বাসর রাত ছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য ছমির আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে,মাকসুদুর রহমান জিমাম সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আরপিন নগর এলাকার মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাকসুদুর রহমান জিমামের সঙ্গে ছাতক থানার পাটিরভাগ গ্রামের আব্দুল মছব্বিবের মেয়ে তাছলিমা বেগমের (১৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে জিমাম তাছলিমাকে নিয়ে পালিয়ে যান। ওইদিন সকাল ১০টার দিকে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারের একজন ইমাম তাদের বিয়ে পড়ান। বিয়ে শেষে নবদম্পতি শান্তিগঞ্জ এলাকা থেকে নৌকাযোগে দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাও ইউনিয়নের পলিরচড় গ্রামের মৃত মোশাহিত আলীর ছেলে আমির আলীর বাড়িতে যান।
পরের দিন শুক্রবার রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে ৮টার সময় আমির আলীর প্রতিবেশী আকবর আলীর পুকুরের ঘাটে গোসল করতে যায় জিমাম। ওই (শুক্রবার) দিন ছিল তার বাসর রাত। গোসল শেষে ঘাটে উঠার সময় হোঁচট খেয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায় জিমাম। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আমির আলীর ছেলে মার্জানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুকুরের পানিতে খোঁজাখুজি করেন। পরে রাত ৯টার দিকে জিমামের লাশ পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি সাঁতার জানতেন না। এ ঘটনায় দুই পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল ধর জানান, থানার এসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।