
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে প্রতি রাতেই আসছে ভারতীয় গরু-মহিষের চালান। অবৈধ ভাবে চোরাই পথে ভারত থেকে এসব গরু-মহিষের চালান দোয়ারাবাজার আসার পর চোরাকারবারিরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দিচ্ছে। প্রায় প্রতি রাতেই ঝাঁকে-ঝাঁকে উপজেলা সদর দিয়ে ভারতীয় অবৈধভাবে আমাদানী করা গরু-মহিষের চালান চলে যাচ্ছে। প্রতি দিন রাতে চোরা কারবারিদের দখলে চলে যায় উপজেলার চার ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট। স্থানীয় একাধিক লোক বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছেনা। সম্প্রতি কাস্টমস বিভাগ ভারতীয় কয়েকটি চোরাই মহিষ আটক করলেও বসে নেই চোরাকারবারিরা। তারা নিয়মিতভাবেই উপজেলার বোগলা,বাংলাবাজার, লক্ষীপুর, নরসিংপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্থা দিয়ে গরু-মহিষ পাচার করছে। এদিকে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু -মহিষ আমদানি নিয়ে দোয়ারাবাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ব্রিটিশ পয়েন্ট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত সুলতান মিয়া (৩৫) ও আরজ আলী (৪২) কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ছনুগাঁও গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে আকিক মিয়া কে (৩৫) আটক করেছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ভারতীয় বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাতের আঁধারে ভারতীয় গরু-মহিষ চোরাই পথে আমদানী করা হচ্ছে। আর এসব পশু দোয়ারাবাজার উপজেলা হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করছে চোরাকারবারিরা। অবৈধ পথে এসব গবাদি পশু দেশের ভেতরে প্রবেশ নিয়ে প্রায় সময়ই চোরা কারবারীদের সাথে স্থানীয় লোকজনের বাক-বিতন্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার রাতে চোরাই পথে ভারতীয় মহিষ আমদানী নিয়ে উপজেলার কুশিউড়া গ্রামের সুলতান মিয়া ও ছনুগাঁও গ্রামের আকিক মিয়া পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। দোয়ারাবাজার থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, দু’পক্ষের মারামারির ঘটনায় আকিক মিয়াকে আটক করা হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আহত আরজ আলীর ভাই শুক্রবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।