প্রতিদিন প্রতিবেদকঃ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের দূর্লভপুর বাজারের সামনে সুরমা নদীতে সমিতির নামে সভাপতি নুরুল হক আফিন্দী ও তার আশীর্বাদপুষ্ঠ আওয়ামীলীগ সমর্থক মকবুল হোসেন আফিন্দী নামের দুই চাচা-ভাতিজার উপর বেপরোয়া চাঁদা উত্তোলন ও সরকারী রাজস্ব প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টায় দুর্লভপুর খোয়াঘাট সংলগ্ন সুরমা নদীর পাড়ে এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগী ইজারাদারদের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবসায়ী ওয়াহিদ আলীর সভাপতিত্বে ও সোহাগ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিআইডবিøউটি এর ইজারাদার মোঃ ইয়াকবীর আফিন্দী,সাচনাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য জয়নাল আবেদীন কাচা মিয়া,সাচনাবাজার ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি শাহনূর মিয়া, দূর্লভপুর নিবাসী ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন,ফতেহপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ তহুর মিয়া ও মোঃ শিব্বির আহমদসহ স্থানীয় বালি পাথর ব্যবসায়ী শ্রমিকগণ।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে দুর্লভপুর বালি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির নামে চাঁদাবাজী করে যাচ্ছেন নুরুল হক আফিন্দী। স্থানীয় বালি পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদাবাজীর দায়ে ২০০৭ সালে যৌথবাহিনী কর্তৃক আটক হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন তিনি। এরপর ঐ সমিতির কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
গত এক বছর ধরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মৌখিক আইন করেন সুরমা নদী দিয়ে চলাচলকারী বালি পাথরবাহী প্রত্যেক কার্গো,বাল্কহেড ও ইঞ্জিন নৌকা বাধ্যতামূলকভাবে ২ শত টাকা করে তার সমিতিকে চাঁদা দিতে হবে। এর পাশাপাশি গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদ জুমআ নুরুল হক আফিন্দির ব্যক্তিগত অফিস ঘরে ২৫ জনের উপস্থিতিতে সমিতির নামে জরুরি সভা করে তিনি সিদ্বান্ত দেন সরকারের নিয়োজিত বিআইডাবিøউটি এর ইজারাদারদেরকে ছোট বা দেশী নৌকা বা বলগেইটকে আনলোড করলে কোন ধরনের টোল ট্যাক্স অথবা বার্দিং চার্জ না দিয়ে তার সমিতিকে ২ হাজার করে টাকা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ নিয়ম হল প্রতিবার আনলোড এবং লোডে টাকা দিতে হবে ।যা সরকারী রাজস্ব আদায়ের চিটিতে উল্লেখ আছে ।
বক্তারা আরো বলেন,কথিত সমিতির নামে তাদের মৌখিক নির্দেশ না মানায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ও পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দূর্লভপুর বালি পাথর মহাল এলাকায় সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারেন নুরুল হক ও মকবুল হোসেন আফিন্দী।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বালিপাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল হক আফিন্দী বলেন,সরকার মনোনিত ইজারাদার আমাকে কোন কাগজপত্র দেখায়নি। তাই আমরা বালিপাথর ব্যবসায়ী সমিতি ইজারাদারকে কোন টোলট্যাক্স দিচ্ছিনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদ রানা বলেন,বিআইডবিøউটি এর ইজারাদার ইয়াকবীর আফিন্দীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে অচিরেই পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
এদিকে মানববন্ধনে সরকারের রাজস্ব প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও সুনির্দিষ্ট চাঁদাবাজীর অভিযোগে চাচা নুরুল হক ও ভাতিজা মকবুল হোসেন আফিন্দীকে গ্রেফতারের জন্য সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন