1. newsjibon@gmail.com : adminsp :
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের বিরুদ্ধে ২ প্রার্থীর অভিযোগ দায়ের - সুনামগঞ্জ প্রতিদিন
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের বিরুদ্ধে ২ প্রার্থীর অভিযোগ দায়ের

প্রতিদিন প্রতিবেদক
  • মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪
  • ৫৩ বার পঠিত
Spread the love

আগামী ৫ জুন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ষষ্ঠ নির্বাচন এবং গত ২১মে রোজ মঙ্গলবার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সম্পন্ন হওয়া নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা হলেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফজলে রাব্বী স্মরণ ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ কুমার বর্মন। নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে সুস্পষ্ট অভিযোগ এনে গত ২৬ মে রবিবার বিকেলে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগে আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফজলে রাব্বী স্মরণ বলেন,আমার প্রতিদ্ব›দ্বী মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী খায়রুল হুদা চপল এর সহোদর সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট সুনামগঞ্জ জেলার একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি তার ভাইয়ের পক্ষে আইন বহির্ভূতভাবে জেলা পরিষদের অফিস গাড়ী ও স্টাফ ব্যবহার করিয়া নির্বাচনী প্রচারনা চালাইতেছেন যা নির্বাচনী আচরনবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট বিগত ২২ মে ২০২৪ইং রোজ বুধবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উনার সহোদর মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী খায়রুল হুদা চপলের পক্ষে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্বাচনী সভা পরিচালনা করেন এবং তার ভাইয়ের মোটর সাইকেল প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালান। বিষয়টি ২৩ মে ২০২৪ইং দৈনিক সুনামকন্ঠ পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় “সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন,খায়রুল হুদা চপলকে সমর্থন দিল জাতীয় পার্টি” শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরকারী গাড়ী,সরকারী অফিস ও সরকারী স্টাফদের সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে একজন (সহোদর) প্রার্থীর পক্ষে ব্যবহার করছেন যা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনের সামিল। এছাড়াও তিনি বেআইনীভাবে এবং সরকারী বিধিবিধান উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অন্যায় লাভের আশায় তাঁর সহোদরের পক্ষে ভোটাধিকারকে প্রভাবিত করার অসদুদ্দেশ্যে বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় জেলা পরিষদের সরকারী অর্থ অনুদানের ঘোষণা করে যাচ্ছেন। যা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী বিধি বিধান লঙ্ঘন এবং নির্বাচনী অপরাধের সামিল। তদুপরী বিভিন্ন সময়ে নিজের পদ পদবী ব্যবহার করে সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন এবং জোরপূর্বক আগামী ৫ই জুন ২০২৪ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় উনার ভাইকে বিজয়ী করবেন বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন যা সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তে প্রমাণিত হবে। অন্যদিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দিলীপ কুমার বর্মন গত ২৩ মে বিকেলে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমি একজন সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মাবলম্বী নিরীহ নাগরিক। ইতিপূর্বে আরো ২ বার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২য় স্থান অধিকার করে থাকি। অন্যদিকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম প্রতিটি নির্বাচনে আমার চাইতে কম ভোট পান। ২১ মে ২০২৪ইং তারিখের নির্বাচনকে সামনে রেখে উক্ত রফিকুল ইসলাম তালূকদার আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে ধর্মীয় উস্কানী,গুজব ও অপপ্রচার পরিচালনা করে আমার ভোটারদের কাছে সাম্প্রদায়িক বিদ্ধেষ ও ঘৃণা ছড়িয়ে নির্বাচনে আচরনবিধি লঙ্গনপূর্বক অবৈধ ফায়দা হাছিল করেন। সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট সরকারী সুযোগ সুবিধা ও পরিবহণ সহকারে প্রকাশ্য দিবালোকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তালুকদারের পক্ষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে স্বশরীরে অনধিকার ও বেআইনীভাবে প্রবেশ করে আচরনবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে আমার প্রতিদ্ব›দ্বী রফিকুল ইসলাম তালুকদারের পক্ষে প্রভাবান্বিত করেন। পলাশ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আনারস প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে নিয়ে স্বশরীরে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করত: আনারস প্রতীকের পক্ষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের ভূমিকা পালনের দৃশ্য স্থানীয় ভোটাররা প্রত্যক্ষ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এর আগেও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আচরনবিধি লঙ্ঘনপূর্বক বেআইনীভাবে ধনপুর ইউনিয়ন,সলুকাবাদ ইউনিয়ন ও দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে আইন ও নিয়ম লংঘন করে অবৈধভাবে প্রচারাভিযান পরিচালনা ও লিফলেট বিতরন করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রেজাউল করিম বলেন,আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রেরণপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট সাংবাদিকদের বলেন,এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো কোনো কাজ আমি করছি না করি নি। জেলা পরিষদের কোনো কর্মী নির্বাচনের কাজ করছেন এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না। জেলা পরিষদের হল রুম একটি সংগঠন নিয়মমতো ভাড়া নিয়ে সভা করেছে, এটা যে কেউ করতে পারে। এখানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিছু নেই। অন্যদিকে অভিযোগকারী ফজলে রাব্বী স্মরণ ও দিলীপ কুমার বর্মন বলেন,আমরা আচরবিধি লঙ্ঘনের উপযুক্ত তথ্য উপাত্ত ও দালিলিক প্রমাণ সহকারেই অভিযোগ দায়ের করেছি।


Spread the love
এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন

© All rights reserved © সুনামগঞ্জ প্রতিদিন
Theme Customized BY LatestNews
error: Content is protected !!