বিশেষ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে একদিনে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জেলার বিভিন্ন হাওরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। তখন ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছিল।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন ছাতক, দু’জন দোয়ারাবাজার ও একজন তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) ব্জ্রপাতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের পশ্চিম দেবেরগাঁও গ্রামের মহিম মিয়া (১৮), পশ্চিম বড়কাপন গ্রামের আরশ আলী (৫৮), চরমহল্লা ইউনিয়নের চরদুর্লব গ্রামের আবদুস সামাদ (২৫), দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রনভূমি গ্রামের তারা মিয়া (৩০) ও ফতেপুর গ্রামের মিলন মিয়া (১৪) এবং তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের কুকুরকান্দি গ্রামের রমজান আলী (১৬)। একই সময়ে বজ্রপাতে তাহিরপুরে মুকিদ মিয়া (২৫) ও দোয়ারাবাজারে নিজাম উদ্দিন (৩০) নামের দুজন আহত হয়েছেন। নিজাম উদ্দিনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল হক বলেন, হাওরে এখন সব বয়সী মানুষ ধান তোলায় ব্যস্ত। সকালে বজ্রপাতে দোয়ারাবাজারে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও একজন।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের হাওরে এখন বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মৌসুম চলছে। কৃষক পরিবারের লোকজন এ সময় হাওরে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত। পরিবার পরিজন নিয়ে হাওরেই দিন কাটান তারা।
ছাতক থানার ওসি খান মোহাম্মদ মইনুল জাকির বলেন, সবাই হাওরে ধান কাটায় ব্যস্ত ছিলেন। আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
তাহিরপুর উপজেলায় বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু ও একজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন