নোহান আরেফিন নেওয়াজ, শান্তিগঞ্জ : পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবেনা, হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কোনো ভয় নেই। বাংলাদেশ এখন ইউরোপ-জাপান-চীন হবে। গত এক বছর ধরে কিছু লোক মানুষকে নানাভাবে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। উস্কানি দিয়ে লাভ হবে না। রবিবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় মন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে তার নিজ উপজেলা শান্তিগঞ্জের হতদরিদ্রের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে। এর আগেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচনে আমাদের দল কাউকে বাঁধা দেবে না। কোনো বিশৃঙ্খলা করবে না। তবে যদি কেউ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশৃঙ্খলা করতে, মারামারি করতে চায়, অগ্নিকান্ড করতে চায় তাদের প্রতিহত করা হবে। এলাকার মানুষ তাদের প্রতিহত করবে।
আন্তর্জাতিকভাবে দেশ একঘরে হয়ে গেছে-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভির এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এক ব্যক্তির কথায় দেশ একঘরে হয়ে যায় না। জাতিসংঘই জানে না বাংলাদেশ একঘরে হয়ে গেছে, রিজভি কিভাবে জানেন? আমরা বিশ্ব সমাজে আছি।
বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যা অনেক কমে গেছে। আগের মতো লোডশেডিং নেই। ১০ লাখ টন কয়লা বন্দরে আসছে। বন্দরে কয়লার
জাহাজের ভীড় লেগে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। বিএনপি একটি ঘরেও বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তাই তারা বিভ্রান্তি ছড়ায়।
পেয়াজের দামবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। আমরা সেটা কমিয়ে দিয়েছিল। এখন কেউ যদি দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াতে যায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে পণ্য আমদানী করে কম দামে বাজারে বিক্রি করবো।
মন্ত্রী আরোও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে, টিউবওয়েল দিয়েছে, ল্যাট্রিন দিয়েছে। লাল টিনের ঘর দিয়েছে। বিএনপি সরকারে থাকাকালে এগুলো কি দিতে পেরেছে? তাদেরকে আমি চ্যালেঞ্জ করছি পারলে প্রমাণ করুক।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার উজ্ জামানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেনের সঞ্চালনায় আরোও বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সেতু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মজিদ কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতি জয়কলস ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল লতিফ কালাশাহ, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রউফ পল্লব,উপজেলার পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দোলন রানী তালুকদার,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ খালেদ চৌধুরী, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন,উপজেলা যুবলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শহীদ মিয়া,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপন,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ,যুগ্ন সম্পাদক সমীরণ দাস, জুয়েল দাস সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে উপজেলার ৪১৭ জন হতদরিদ্রের মাঝে ১২৭০ টাকা করে মোট ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেন মন্ত্রী।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: আইটি ঘর