পাবেল আহমেদ,শাল্লা: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের শাল্লায় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কমপক্ষে ২০ জন প্রার্থী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। শাল্লার জনসাধারণ ও প্রার্থীদের সাথে কথা বলে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী বেশি হওয়ার বিষয়টি অস্বাভাবিক বা মন্দের কিছু নয়। এতে রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা বাড়বে ও সঠিক নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে বলে জানা যায়। মাত্র শেষ হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। অনেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছেন। কেউ কেউকে বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ করতেও দেখা গেছে। অনেকেই আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও প্রচার করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য উপজেলার চারটি ইউনিয়ন থেকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কমপক্ষে ২০ জন প্রার্থীর নাম উঠে এসেছে। অনেকেই মাঠে তৎপরতা শুরু করেছেন। তবে অধিকাংশ প্রার্থীই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থক। তবে এবছরের নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিএনপির নেতা আব্দুল মজিদ, মোঃ সাইফুর রহমান ও আজহারুল ইসলাম এই তিনজন নির্বাচনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে খুব বেশি। তাদের প্রচার প্রচারণাও চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের দলীয় সিন্ধান্ত কি আসে সেটাও হয়তো তাদের প্রার্থীতার বিষয়ে নড়া দিতে পারে। এছাড়ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদের তালিকায় রয়েছেন যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু,পঙ্কজ চৌধুরী,যুবলীগ নেতা ফেনী ভূষণ সরকার,বাহাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পিযুষ কান্তি দাস, উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক কালীপদ রায়,সাংবাদিক বিপ্লব রায়, যুবলীগ নেতা ও শিক্ষানবীশ আইনজীবী,অনুপম তালুকদার জিকু, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী শেখ শহীদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা তফসির আলম চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা আজাদ মোহাম্মদ আলেখ,সাবেক মেম্বার আব্দুল হান্নান,প্রদীপ কুমার দাস,আব্দুল হান্নান (আটগাঁও),স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য ইকবাল তালুকদার, মাহমুদ নগর গ্রামের সুলতান রানা, সুলতানপুর গ্রামের মো: তানভীর হোসেন ও রৌওয়া গ্রামের রুপক চন্দ্র দাস সহ অন্তত ২০ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন অরিন্দম চৌধুরী অপু, সাইফুর রহমান, ফেনী ভূষণ সরকার, আব্দুল মজিদ, পঙ্কজ চৌধুরী ও কালীপদ রায়। তবে স্থানীয় অনেক সচেতন মহল মনে করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে এতো প্রার্থী থাকবেনা। এ সংখ্যা আরো কমে যেতে পারে। প্রার্থী অরিন্দম চৌধুরী অপু নির্বাচনে তার প্রার্থীতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন জনগণের জন্যেই দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে রয়েছি। তিনি বলেন গত নির্বাচনে নির্বাচিত না হতে পারলেও আমি জনগণের সাথে সম্পর্কের কোন ঘাটতি রাখিনি। যেকোনো বিষয়ে যেকোনো সময় জনগণের ডাকে সাড়া দিয়েছি। এবারের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রার্থী সাইফুর রহমান বলেন আমি গত নির্বাচনেও ভাল অবস্থানে ছিলাম। আমি জনগণের সাথে সবসময় সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছি। এবছর জনগণ তাকে সঠিক মূল্যায়ন দেবে বলে জানান তিনি। ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩নং বাহাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পিযুজ কান্তি দাস বলেন নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। তিনি বলেন আমি প্রতিদিন,প্রতিনিয়ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। নিজের স্বামর্থ অনুযায়ী জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের প্রতি বিশ্বাস রেখে তিনি বলেন জনগণের পক্ষে থেকে পাওয়া মনোবলই আমার একমাত্র শক্তি। তিনিও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা ব্যক্ত করেছেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন