চতুর্থ ধাপে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। গত সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রার্থীরা ছুটেছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। ভোট আদায় করতে দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এবার নির্বাচনের ভোটের অপেক্ষা। উপজেলার চেয়ারে কে বসছেন এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ৮টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৭ শত ৮৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৭২ হাজার ৪ শত ৮ জন এবং নারী ভোটার ৭০ হাজার ৩ শত ৭৫ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ২ জন। চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে আছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের পুত্র ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাদাত মান্নান অভি(আনারস প্রতীক)। তিনি ইতিমধ্যেই প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে ভোটারদের মন জয় করে নিয়েছেন। তাকে ঘিরে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। অনেকেরই ধারণা অভির বাবা ছিলেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী বর্তমান এমপি উনাকে ভোট দিলে উপজেলার উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। অভির কর্মী সমর্থকদের ধারণা তাদের বিজয় হবে নিশ্চিত।
সাদাত মান্নান অভির সাথে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রবীন আওয়ামীলীগের একনিষ্ট কর্মী হাজী আবুল কালাম (মোটরসাইকেল প্রতীক)। তিনি ইতিমধ্যে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গঞ্জে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনতার কাছ থেকে সারা পেয়েছেন। তাহার পক্ষে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রী কমিটির সদস্য প্রয়াত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্ধ ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন। তাদের বিশ^াস হাজী আবুল কালামেরই বিজয় হবে।
এছাড়াও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবি বুরহান উদ্দিন দোলন (ঘোড়া প্রতীক)। তারাও জোরেসোরে চালিয়েছেন প্রচারণা। দোলনের কর্মী সমর্থকদের ধারণা জনগন তাদের পক্ষে রায় দিবেন। নির্বাচনে পুরুণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, এই নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে এবং ভেতরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে নির্বাচনী মাঠে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করার পাশাপাশি প্রার্থী, ভোটার ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন