শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি: শান্তিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে বসতঘর পুড়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১০ জুলাই ২০২৩ তারিখ রাতে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আসামপুর গ্রামের মৃত আরজ আলীর ছেলে মাসুক মিয়ার বাংলো ঘরে। এ বিষয়ে আসামপুর গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে সারুফ মিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার শান্তিগঞ্জ থানায় একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে আব্দুল আলম,মৃত সোনাদন আলীর ছেলে আনাল হোসেন,মুরাদ হোসেন,মৃত মিয়াধন আলীর ছেলে সাধন আলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,প্রতিপক্ষের লোকজন পাশপাশি বসত ঘরের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে প্রায় সময়ই কারণে অকারণে অভিযোগকারী সহ তাদের পরিবারের লোকজনদের জান মালের ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে প্রতিপক্ষের লোকজন বাদীর পরিবারের লোকজনদের সাথে উগ্র,উশৃংখল আচরণ করে এবং বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও জান মালের ক্ষতি সাধণের হুমকি প্রদর্শণ করে। মাসুক মিয়ার বসত ঘরের পূর্ব পার্শ্বে টিনসেড বাংলা ঘর অবস্থিত এবং বাংলা ঘরে ২৫-২৬ মন বস্তাবন্দি ধান, লাকড়ী ও ফার্নিচার ছিল। সোমবার দিবাগত রাত অনুমান সারে ১০ ঘটিকার সময় মাসুক মিয়ার পরিবারের লোকজন রাতের খাবার খেয়ে নিজ নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত অনুমান-সারে ৩ ঘটিকায় সারুফ মিয়া বসত ঘর হইতে বাহির হয়ে ঘরের বারান্দায় অবস্থান করার সময় দেখতে পায় বসত ঘরের পূর্ব পার্শ্বে বাংলা ঘরে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। আগুন দেখে শোর চিৎকার শুরু করলে বসত ঘরের বারান্দায় থাকা বৈদ্যুতিক বাতির আলোতে দেখতে পান বাংলা ঘরের পাশ থেকে নামাংকিত প্রতিপক্ষের লোকজন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন দৌড়াইয়া উঠান দিয়া পালিয়ে দ্রুত চলে যায়। তখন বাড়ীর লোকজন সহ আশপাশের লোকজন জড়িত হয়ে অনেক চেষ্টা করার ঘন্টা খানিক পরে আগুন নিভাতে সক্ষম হন। ততক্ষণে আগুনে সম্পূর্ণ বাংলা ঘর ভগ্নীভূত হয়ে যায় এবং ঘরে থাকা ২৫-২৬ মন ধান,বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচার পুড়ে গিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এসময় প্রতিপক্ষের ফেলে যাওয়া একটি খালি পেট্রোল মিশ্রিত ০৫ পাঁচ লিটারী প্লাস্টিকের বোতল পরিত্যাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলের পাশে পাওয়া যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী সারুফ মিয়া বলেন,প্রতিপক্ষের সহিত আমাদের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলিতেছে। এরই জের ধরে আমার পিতা বাড়িতে না থাকায় তাহারা আমাদেরকে আর্থিকভাবে ক্ষতিসাধন করার জন্য ঘরে আগুন লাগিয়েছে। আমরা ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের আব্দুল আলমের মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ খালেদ চৌধুরী বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন