শান্তিগঞ্জ উপজেলার ছয়হাড়া সেতুর টোল আদায় থেকে দীর্ঘ বছরের পর মুক্তি পেয়েছে জনগণ। বছরের পর বছর ধরে টোল আদায় অব্যাহত থাকায় মানুষের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এবার শেষ হলো এই খেলা। অবশেষে শ্রমিকরা বন্ধ করে দিলেন ছয়হাড়া সেতুর টোল আদায়। গত রোববার থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এই কার্যক্রম করেন। জানা যায়, রোববার শান্তিগঞ্জ উপজেলা ট্রাক উপ-কমিটি পাগলা বাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদু রহমান সাজাদ এর সাথে টোল আদায় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় টোল আদায়কারীদের। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাড়তি ৫০ টাকার জন্য সাজাদের গায়ে হাত তুলতে আসেন ইজারাদারের নিয়োগকৃত কর্মীরা। এবং তাকে ড্রাইভিং সিট থেকে নামিয়ে টানা হেচড়া করে টোল আদায়ের কক্ষে আটক করে রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে পাগলা বাজারের সর্বস্তরের পরিববহন শ্রমিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় সুনামগঞ্জ জেলার সকল পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্ধ বিষয়টি নিয়ে পাগলা বাজারে বসে টোল আদায়ের চার্ট দেখতে চাইলে ইজারাদার তা দেখাতে না পারায় তারা টোল দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন থেকেই বিনা টোলে বিভিন্ন শ্রেণীর যানবাহন চলছে। এদিকে দীর্ঘবছর পর ছয়হাড়া সেতুতে টোল আদায় বন্ধ হওয়ায় স্বস্থি প্রকাশ করেছেন পরিবহন শ্রমিকসহ স্থানীয় জনসাধারণ। সিএনজি চালক মিসবাহ বলেন, টোল আদায় বন্ধ হওয়ায় ভালো লাগছে। শুধু আজই নয় সবসময়ের জন্যই এই সেতুর টোল আদায় বন্ধ হওয়া উচিত। একাধিক ট্রাক চালকরা বলেন, অনেক সময় বাড়তি টোলও নিয়েছেন ইজারাদাররা। তাদের আচরণও খুবই খারাপ। টোল আদায় বন্ধ হওয়ায় স্বস্থি লাগছে। শান্তিগঞ্জ উপজেলা ট্রাক উপ-কমিটি পাগলা বাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক ভুক্তভোগী সাজ্জাদু রহমান সাজাদ বলেন, মিনিট্রাকের টোল ৭৫ টাকা নির্ধারিত থাকলেও যাওয়া এবং আসার টোল ১ শত ৫০ টাকা হলেও দীর্ঘ বছর যাবৎ তারা ২ শত টাকা করে নিচ্ছেন। বাড়তি টাকা না দিতে চাইলে ইজারাদার ও তাদের নিয়োগকৃত লোকরা আমার উপর হামলা চালিয়ে আমাকে আটক করে। শান্তিগঞ্জ উপজেলা ট্রাক-পিকআপ শ্রমিক উপ শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বলেন দীর্ঘ বছর ধরে ছয়হাড়া সেতুতে দিগুন হারে টোল দিয়ে আসছেন শ্রমিকরা। এতে ক্ষুব্ধ তারা। গত রবিবার টোল প্লাজায় আমাদের এক শ্রমিককে তারা মারধর করে আটকে রাখলে সে আমাদের ফোন করে জানায়। পরে আমি সহ শ্রমিক নেতা মখদ্দুছ, আমির উদ্দিন, আব্দুস সামাদ,হিরণ মিয়া, আবির শাহ ওবায়দুল্লাহ সহ পাগলা বাজারের সর্বস্থরের পরিবহন শ্রমিকগন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পাগলা বাজারে নিয়ে আসি এবং পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্ধের সিদ্ধান্ত নেন ছয়হাড়া সেতুতে আর কোন টোল দেয়া হবে না ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন