দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার উপজেলা সদর, যার পূর্ব পাশে ইউনিয়ন ভূমি অফিস, দক্ষিণে সরকারি খাদ্যগুদাম পশ্চিম পাশে খাদ্য গুদাম সড়ক ও সুরমা নদী, উত্তর পাশে ভূমি অফিসের রাস্তা। চতুর্থ পাশে স্থাপনা থাকলে ও মধ্যে খানে দ্বীপে বসবাস করছে ২০ টি পরিবারে দুই-শতাধিক নারী,পুরুষ ও শিশু। রাস্তা না থাকায় তারা ছয় মাস পায়ে হেটে ও ছয় মাস ড্যামে রশিটেনে পারাপার হচ্ছে এখানকার জনগণ। ২০০ ফুট সড়ক না থাকায় দীর্ঘ ৬ মাসের ঝুঁকিতে ২০ টি পরিবারের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। বড়রা রশিটেনে পারাপার হলেও, বিদ্যালয়গামী কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা পারাপার না হতে পারায় শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়ছে শিশুরা। এছাড়াও কোন মহিলার প্রসব বেদনা অথবা মূমুর্ষ রোগী হাসপাতালে নিতে হলে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়. পোহাতে হয় সীমাহীন দূর্ভোগ। আর এই সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের একদম নিরুপায় হয়ে.বর্ষা কালে যা ভয়াবহ রুপধারন করে স্থানীয় জনজীবনে, চারিদিকে ভরা পানি, তাদের আর্তনাদের চিৎকার যেন পানির সাথেই মিশে যায়। যেন পৃথিবীর সবচেয়ে অবহেলিত দ্বীপে বসবাস করছে তারা।
স্থানীয়দের দাবী যুগযুগ ধরে আমরা বঞ্চিত। উপজেলা সদরে বসবাস করে ও আমাদের শিশুরা রাস্তার অভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। জনপ্রতিনিধিও সরকারের উপর মহলের লোকজন আমাদের জীবন যাত্রা দেখেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
আলীফরিদ জানান পারাপারের রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে হাটবাজারে গেলেও বিদ্যালয় গামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার না হতে পারায় শিশুকালেই শিক্ষা জীবন সমাপ্ত হয়। গত ৩/৪ বছর আগে তফসিল অফিস থেকে আলীফরিদের বাড়ি পর্যন্ত মাটি কাটার একটা প্রকল্প আসে, কাজ শুরু হলে ইউনিয়ন ভূমি অফিস কতৃপক্ষের বাঁধার কারণে সড়কের কাজটি আর হয়নি।
দ্বীপে বসবাসরত আলী-আমজদ বলেন, সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকি রাস্তা না থাকায় ঝুঁকির মধ্যে কি করে ড্যামদিয়ে পারি-দিবো।ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না,, অসুস্থ মানুষ চিকিৎসায় নিতে পারছে না। এ যেন এক মরণফাঁদে বসবাস করছি।
মধ্যবয়সী দিলারা বলেন,, রোজীরোজগারের জন্য বের হলে চিন্তা, বাজার থেকে চাউল,ডাল, আটা সহ নিত্যপণ্য সামগ্রী নিয়ে আসলে কখনো ডুবে, কখনো পাঁ-পিচলে পরে সব শেষ, না খেয়ে থাকতে হয় ভুক্তভোগী পরিবারকে। কতটা কষ্টের মধ্যে দিনপাত করছি কেউ দেখার নেই।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: আইটি ঘর