ধর্মপাশা প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মেদের বিরুদ্ধে নামেমাত্র কাজ করে এলজেএসপি সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার সকালে ওই ইউনিয়নের বংশিকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা সারোয়ার হোসেন খোকা নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজলার বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মেদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নিজ ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও মেরামত দেখিয়ে এলজেএসপি, কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের লাখ-লাখ টাকা উত্তোলণ করে তা নামেমাত্র কাজ করে সাকুল্য টাকা আত্মসাত করে আসছেন। এর মধ্যে ২০২০-২১ ইং অর্থ বছরের জন্য এলজেএসপি -৩ প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত ১৭ লাখ টাকা ও একই বছরে পৃথক আরো একটি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ১১ লাখ টাকা নামেমাত্র কাজ করে সাকুল্য টাকাি হাতিয়ে নেন চেয়ারম্যান রাসল আহম্মেদ।
এছাড়াও একই কায়দায় ওই ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দকৃত টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের লাখ-লখ টাকাও আত্মসাত করে আসছেন তিনি।
শুধু তাই নয় চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মেদের পৃষ্টপোষকতায় এলাকায় মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবিদের ব্যাপক বিস্তার লাভ করছেনা। এতে করে তিনি এলাকার সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ট করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মেদ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে তিনি বলেন, মূলত আমার সুনাম নষ্ট করার জন্যই এলাকার একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা কাজে লিপ্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: আইটি ঘর