প্রতিদিন প্রতিবেদকঃ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী নেতা রতন পিতা আবু তাহের গ্রাম ননাই তাহিরপুর নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে রহস্যজনকভাবে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে হাজির। বিগত ১৬ বছর যাবত স্বৈরশাসক খুনি হাসিনার প্রেতাত্মা সন্ত্রাসী রতন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি করে জলমহাল, বালুমহাল, হাটবাজার, ঘাট এককভাবে দখল করে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে রাজধানী ঢাকা শহরে মোহাম্মদপুরে বিশাল অট্টালিকা গড়ে তুলেছেন।

৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সুনামগঞ্জ শহরে প্রকাশ্যে গুলি করেছে রতন ও তার ক্যাডার বাহিনী।ঢাকা শহরের মিরপুর এলাকায় কোটি টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া ক্যাডার দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি বর্ষণ করে মর্মান্তিক তান্ডব চালিয়ে একাধিক ছাত্রের মৃত্যু ঘটিয়েছেন। অনেক মায়ের বুক খালি করেছেন আওয়ামী সন্ত্রাসী রতন ও তার বাহিনী। ৭জানুয়ারী ডামি নির্বাচনে সাবেক এমপি রনজিত সরকারের শীর্ষ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিল মাফিয়া রতন ওরফে ডেগগুয়া রতন। রনজিত সরকার এমপি হওয়ার পর ১ কোটি টাকা দামের গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন মাফিয়া রতন। পতিত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ ও এমপিদের সাথে যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাহিরপুর উপজেলার বিআইডব্লিউটিএর সকল ঘাট, টুলটেক্স ঘাট, হাটবাজার, বালুমহাল, জলমহাল, বর্ডার বাণিজ্য ,চোরাচালান একক নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন দুর্নীতিবাজ রতন। মাফিয়া রতনের শ্যালক জাকির হোসেন ডালিমের অত্যাচারে তাহিরপুর উপজেলার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। রতন বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক বার মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ করলেও আওয়ামী লীগের শক্তির কাছে সবাই অসহায়। ২০০৮ সালের আগে রতন তাহিরপুর এলাকায় বার দিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সিলভারের ডেগ হাড়ি পাতিল বিক্রি করতো। যার কারনে এলাকার সবাই তাকে ডেগগুয়া রতন হিসেবে চিনতো। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তার আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ডেগগুয়া রতন হয়ে গেলেন মাফিয়া রতন। গত কিছু দিন আগে বানভাসিদের সাহায্যের ত্রাণ সংগ্রহের কর্মসূচি দিয়েছিলো বিএনপি। বিএনপির ত্রাণ সংগ্রহের সময় হঠাৎ দেখা যায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী মাফিয়া রতন। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে সমোচনার ঝড় উঠে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভয়ংকর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে নাশকতা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চক আঁকছে ।

হাসিনা সরকারের পতনের পর সুনামগন্জের দ্রুত বিচার মামলার অভিযুক্ত আসামী কার মদতে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে যাওয়ার সাহস পেল তা তদন্ত করে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের অনোরোধ করেছেন তৃনমূলের বিএনপির নেতারা । গত ৭ মাস আগে টুঙ্গিপাড়া তাদের পিতার মাজারে গিয়ে ছবি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট দেয় মাফিয়া রতন । তার সাথে সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ, ৪নং বড়দল উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন।