দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: কেউ তাকে ডাকেন মোবাইলের যাদুকর কেউবা মোবাইল শরিফ। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানার এএসআই শরিফ। হারানো মোবাইল খুঁজে বের করাই যার অন্যতম নেশা। কর্মজীবনে ছিনতাই অথবা হারিয়ে যাওয়া অন্তত তিনশত মোবাইল খুঁজে তিনি তুলে দিয়েছেন প্রকৃত গ্রাহকের হাতে।
মোবাইল হারানোর সাধারণ ডায়েরি হলেই ডাক পড়ে তার। মরুভূমিতে সুই খোঁজার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন তিনি। কর্মক্ষেত্রের ব্যস্ততায় কখন সকাল গড়িয়ে দুপুর বা বিকেল হয় তা খুব একটা টের পান না।
১৯৯৭ সালে কনস্টেবল হিসেবে কর্মজীবন শুরু শরিফের। ২৬ বছরের চাকরি জীবনের অর্ধেকের বেশী সময় পার করেছেন হারানো মোবাইল উদ্ধারের নেশায়। কোনোটিতে সময় নিয়েছেন পাঁচ দিন, কোনোটির জন্য লেগে ছিলেন দুই বছর। মোবাইল খোঁজার ক্ষেত্রে বাজারমূল্য তার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
এ এস আই শরিফ বলেন, অনেকসময় গরীব রিক্সাওয়ালা কিংবা শ্রমিকরা তাদের হারানো ফোন উদ্ধারের আশায় আমার কাছে এসে জিডি করেন। সমান গুরুত্বের সাথেই আমি তাদের হারানো মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করি।
২০১৩ সাল থেকে প্রায় তিনশত হারানো মোবাইল উদ্ধার করেছেন তিনি। শুধু দোয়ারাবাজার থানা জিডির বিপরীতেই পঞ্চাশটি মোবাইল গ্রাহককে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, অনেক দামি জিনিস হারানোর চাইতে মোবাইল হারানোর কষ্ট অনেক বেশি। জিডি করার পর ফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফোন দিলে তারা অনেকে বিশ্বাসই করতে চায় না।
মোবাইল উদ্ধারে এতোগুলো সফলতার পেছনের গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হচ্ছে। ফোন উদ্ধারে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধরের তত্বাবধানে এ কাজ করা হচ্ছে।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর বলেন, আন্তারিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে থানার কাজগুলো সম্পন্ন করছে এএসআই শরিফ। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন উদ্ধারে কাজ করেন। আমরা তাকে এসব কাজে উৎসাহ দেই। কারণ একটি মোবাইল ফোন একজন ভুক্তভোগীর কাছে অনেক গুরুত্ব বহন করেন। আর সেই ফোনটা উদ্ধার করে দিলে ভুক্তভোগীর খুশির অন্ত থাকে না। এভাবেই অসংখ্য মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমরা তৎপর।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন