দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকায় যৌথ বাহিনীর রাতভর পৃথক অভিযানে ২৪টি গরু-মহিষ আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় বিজিবি, পুলিশের সহযোগিতায় সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফয়সল আহমদের নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় ইদানিং কয়েকটি রুটে স্থানীয় চোরাকারবারীরা অবৈধ ভাবে ভারতীয় গরু-মহিষসহ নানা ভারতীয় পন্য চোরাই পথে আমদানী করছে।চোরাচালানের সবচেয়ে বড় রোড কলাউড়া সীমান্ত। চোরাচাালানের দৌরাত্ব বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। মঙ্গলবার রাতে অভিযানের প্রথম দফায় বোগলাবাজার-দোয়ারাবাজার সড়কে এক অভিযানে ১১টি গরুসহ একটি ট্রাক আটক করা হয়। দ্বিতীয় দফায় বাংলাবাজার-দোয়ারাবাজার সড়কে ৩টি ভারতীয় মহিষসহ আরও একটি ট্রাক আটক করা হয়। অভিযানের তৃতীয় দফায় শেষ রাতে বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের ইসব মিয়ার বাড়ী থেকে ৫টি ভারতীয় গরু ও একই সময়ে পাশ^বর্তী তফজ্জল হোসেনের বাড়ী থেকে তল্লাশী করে আরও ৫টি চোরাই পথে আনা গরু আটক করা হয়। ওই সময়ে স্থানীয় কয়েক চোরাকারবারী গরু গুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। গরু ছিনিয়ে নিতে না পেরে খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে চোর চোর বলে চিৎকার চেচামেচি করে লোকজন জড়ো করে যৌথ বাহিনীকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এই খবর জানতে পেরে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ মোর্শেদ মিশু একদল পুলিশ নিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। অভিযানে আটককৃত গরু-মহিষ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফয়সল আহমদ বলেন, এ ঘটনায় চোরাকারবারী বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চলমান থাকবে।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব দুলাল ধর বলেন, চোরাচালানের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান সব-সময় অব্যাহত রয়েছে। যৌথ বাহিনীর কাজে বাঁধা প্রদানের বিষয়ে মামলা হলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: আইটি ঘর