দিরাই পৌর শহরের বাজারে সব টিউবওয়েলই অকেজো রয়েছে। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এই তীব্র গরমে বাজারে আসা লোকজন, বিভিন্ন ধরনের শ্রমজীবী মানুষ টিউবওয়েলের পানি না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন। উপায় না পেয়ে তারা মসজিদের হাউজের পানি বা রেস্টুরেন্ট থেকে বিভিন্ন কোম্পানির পানি ব্যবহার করছেন, যা ব্যয়বহুল। উপজেলার পৌর শহরের দিরাই বাজারে দোকানের সংখ্যা প্রায় সাত শতাধিক। এর মধ্যে চা, মিষ্টি, বেকারী, খাবারের দোকান ও হোটেলের সংখ্যা প্রায় শ’ খানেক। এতোগুলো দোকানে কেনাবেচার জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের সমাগম ঘটে। মিষ্টি বা খাবারের দোকানের সাথে কারো টিউবওয়েল থাকলেও সমস্ত বাজারে একটি মাত্র টিউবওয়েল কার্যকর রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলে আসলেও কর্তৃপক্ষের বিশুদ্ধ পানির সংকটের সমাধানে নেই কোন উদ্যোগ। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের চা-স্টলসহ দোকানীদেরকে দোকান ফেলে রেখে পানির জন্য দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিন পানি সংগ্রহ করতে হয়, এতে তাদের সময়ের অপচয় হয়। সরেজমিণে বাজার ঘুরে দেখা যায়, টিউবওয়েলগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় অকেজো পড়ে রয়েছে। দিরাই মধ্য বাজার জামে মসজিদের সামনে একটি টিউবওয়েল ছিল, যা বর্তমানে নষ্ট। বাজারের আখড়া মন্দিরের পাশে ও থানা রোডের সেন মার্কেটের সামনে টিউবওয়েল থাকলেও রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে সেগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। গার্লস স্কুল রোডে একটি টিউবওয়েলে পানি সরবরাহকারীদের বিভিন্ন সময় পানি ভরতে দেখা যায়। কিন্তু মাঝে মধ্যে তাও নষ্ট হয়ে যায়। এলাকাবাসী ও দোকানদারদের দাবি, পুরাতন টিউবওয়েল মেরামতের পাশাপাশি বাজারে আরও ২/৩ টি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করলে বাজারে সুপেয় পানির অভাব অনেকাংশে দুর হবে। কলেজ রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সেলিম চৌধুরী জানান, বাজারে বাসস্ট্যান্ড থেকে সেন মার্কেট এরিয়ার মধ্যে একটা টিউবওয়েলও স্থাপন করা হয়নি। এতে বিশুদ্ধ পানির সংকটে বাজারে আসা পথচারী, বিভিন্ন ধরনের শ্রমজীবী মানুষ ও দোকানদারদের কষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হবো। উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী উজ্জ্বল খান জানান, পৌরসভার ভিতরে আমাদের কোন প্রকল্প নেই। এনিয়ে মেয়র ও এমপি কাজ করছেন। প্রকল্প আসলে আমরা পৌরসভায় কাজ করতে পারবো। পৌর মেয়র বিশ্বজিত রায় জানান, অচিরেই টিউবওয়েল সমস্যার সমাধান হবে এবং বাজারে আরও কয়েকটি টিউবওয়েল স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন