দিরাইয়ে বাইক কিনে না দেয়ায় অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। নিহত যুবক জিহাদ মিয়া (১৯) দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের সাদিরপুর গ্রামের জুনুর মিয়ার ছেলে। গত রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বসত বাড়ির পেছনে সুরমা নদীর পাড়ে গাছের সঙ্গে ওই যুবক গলায় ফাঁস দেন। এ সময় নদীতে মাছ ধরতে থাকা স্থানীয় লোকজন জিহাদ মিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ‘ফাঁস দিয়েছে’ বলে চিৎকার দেন। পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়ে জিহাদ মিয়াকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জিহাদ মিয়াকে মৃত ঘোষণা দেন। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ জিহাদ মিয়ার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে লাশ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে জুনুর মিয়া অপমৃত্যুর লিখিত সংবাদ দিরাই থানায় দাখিল করেছেন। লিখিত সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত সোয়া আটটার দিকে জিহাদ মিয়া নদীর পাড়ে যাবার কথা বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর সুরমা নদীতে মাছ ধরতে থাকা লোকজনের চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে জিহাদ মিয়াকে নদীর পাড়ের মেরা নামক গাছের ডালের সাথে রশি দ্বারা গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ফাঁস খুলে দ্রুত দিরাই হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন যাবত জিহাদ মিয়া তার পিতা-মাতার কাছে মোটর সাইকেল কিনে দেয়ার জন্য বায়না ধরেছিলেন। দূর্ঘটনার ভয়ে মা-বাবা বাইক কিনে দিতে রাজী হচ্ছিলেন না। এরই জের ধরে অভিমানে জিহাদ মিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে জিহাদ মিয়ার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বলা যাবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন