দিরাই প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট মহানগর যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জুয়েলের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদে গতকাল (সোমবার- ২৫-০৯-২০২৩) দুপুরে দিরাই শহরে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় লোকজন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ইউপি সদস্য সাইদ আহমদ খসরু, সাবেক ইউপি সদস্য হাসান আহমদ, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাসুক মিয়া, শিপ্রা রানী দাস, আরিজা বেগমসহ স্থানীয় লোকজন। বক্তারা বলেন, জহিরুল ইসলাম জুয়েল নির্বাচিত হবার পর থেকে বিভিন্নভাবে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, পরিষদের সদস্যকে মারধর ও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। ভিজিডি ভিজিএফসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছেন। চেয়ারম্যান পরিষদের কার্যালয়ে আসেন না। বাড়িতে অফিস করেন। চেয়ারম্যানের চাহিদামতো টাকা না দিলে জন্মনিবন্ধন, ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং কর আটকে দেন। ভুক্তভোগী অটো রাইস মিলের ব্যবসায়ী ইউনিয়নের ধাপকাই গ্রামের মাসুক মিয়া বলেন, ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্সের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি ট্যাক্স পরিশোধ করতে বলেন। আমার হালনাগাদ ট্যাক্স পরিশোধ করা আছে জানাই এবং রশিদ দেই। চেয়ারম্যান রশিদ ছিড়ে ফেলেন। পূনরায় ট্যাক্স বাবদ আমার কাছ থেকে ১০হাজার টাকা নেন। এ সময় চলতি বছরের ১৪ মার্চ প্রথমবার ৩শ টাকা ও ১১ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার ১০হাজার টাকা ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ দেখিয়ে মাসুক মিয়া বলেন, চেয়ারম্যান ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ২ লাখ টাকা দাবী করে। কয়েকমাস ঘুরেও ট্রেড লাইসেন্স না পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। শিপ্রা রানী দাস ও আরিজা বেগম বলেন, ভিজিডি তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য আবেদন করেছিলাম। মেম্বারের মাধ্যমে জানতে পারছি আমাদের নাম তালিকায় আছে। কিন্তু কখনো চাল পাইনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, পরিষদের সব কাজ নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে। আমি কোন অনিয়ম-দূর্নীতি করি না। একটি কুচক্রী মহলের ষরযন্ত্রে আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন