দিরাইয়ে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পুর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষে সালিসি সহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে দিরাই উপজেলার বদলপুর গ্রামের সিজিল মেম্বার এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিজিল মিয়ার লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। গুরুতর আহত ৩৯ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন দিরাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিলেটে রেফার করা আহতরা হলেন, বদলপুর গ্রামের সিজিল মেম্বার (৫৫), নজরুল ইসলাম (২২), রাসেল (৩৮), শাহজাহান (৪০), মফিজ আলী, মাসুমা বেগম (৬০), শফিক মিয়া (৫০), আসাদ মিয়া, ছায়াদ মিয়া, শাহআলম, পাখি মিয়া, শফিক মিয়া, কালাম মিয়া, মাঈন উদ্দিন, তাহির মিয়া, মুহিদুল মিয়া, সুজন, রিমন, শিহাব, রেজাউল, ছান উল্লা, নাহিদ, আব্দুর রহমান, আলী আমজাদ, মুছা মিয়া, আজাদ মিয়া, তোফায়েল, সেলিম, মনির, সাইফুজ্জামান, স্বপন মিয়া, শফিক, আলেকা বেগম, জিয়াউল করিম, সাঈম, রাজা মিয়া, সাবাজ মিয়া, কুলসুম বিবি, শাহাবুদ্দিন। দিরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিজিল মেম্বার এবং প্রবাসী সিজিল মিয়ার মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পুর্ব বিরোধ ছিল। দুই পক্ষে বিভক্ত গ্রামের লোকজন প্রায়ই সংঘর্ষ জড়ায়। উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে। গ্রাম্য বিরোধের জেরে বদলপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরাও বিভক্ত হয়ে পড়েন। ওই সমিতির নামে ইজারাকৃত পুরাতন সুরমা নামক জলমহাল সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রবাসী সিজিল মিয়ার পক্ষের লোকেরা অপরপক্ষের সদস্যদের বাদ দিয়ে ভোগদখল করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জেরে সোমবার সকালে দুই পক্ষ দেশয়ী অস্ত্রসজ্জিত হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে দুই পক্ষের লোক ও সালিসি সহ অন্ততঃ অর্ধশতাধিক আহত হয়। দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. রায়হান উদ্দিন বলেন, আহতদের নিয়ে দুই পক্ষের প্রায় দুইশো লোক চিকিৎসার জন্য একসঙ্গে জরুরি বিভাগে আসলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৩৯ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রেফার করা বেশীরভাগেরই ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। কিছু জখমীকে আমরা এখানে চিকিৎসা দিতে পারতাম। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন