দিরাই প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। এ ঘটনায় ৩জনকে আটক করা হলেও অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের রফিনগর কান্দাহাটি গ্রামের ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ ও গ্রামের অলিউর রহমানের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে গুরুতর আহত অলিউর রহমানের পক্ষের মোস্তাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মনর আলী, ইয়াবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, জাহেদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মইনুল ইসলাম, সাইফুর রহমান, অপর পক্ষের ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ, আব্দুল হেলিম, ওমর ফারুক, বায়েজীদ মিয়া, উবায়দুর রহমান, আতিক উল্লাহ, জামিল হক, জাগির হোসেন, সুজাক মিয়া, আকিল মিয়া, জানার আলী, দেলোয়ার হোসেন, মুজাহিদ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্য আহতরা দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গ্রামের অলিউর রহমান ও ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। গ্রামে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে গ্রামের লোকজন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে অলিউর রহমানের ভাতিজা জাহেদুর ও মামুনুর রশীদের ছোট ভাই জুনাইদের মধ্যে গৃহপালিত কবুতরের মালিকানা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অর্ধ শতাধিক লোকজন আহত হয়। দিরাই থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাইনি। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি জানান, রফিনগর গ্রামের তাছিদ মিয়ার লাইসেন্সধারী বন্দুক দিয়ে গুলি করা হয়েছে। বন্দুকটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন