গত চার-পাঁচ দিনের তীব্র তাপদাহে জামালগঞ্জ সহ সুনামগঞ্জ জেলা জুড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। কর্মহীন হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষজন। প্রচন্ড তাপদাহে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও হাপিয়ে উঠেছে। গত তিন দিনে জামালগঞ্জে, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রোদের তাপ বেড়ে যাওয়ার কারনে অনেকেই গাছের ছায়া ও গ্রামীণ জনপদে আশ্রয় নিচ্ছেন। প্রতিদিনই তাপপ্রবাহ ক্রমেই বাড়ছে। কেউ আবার পেটের দায়ে অত্যধিক গরম উপেক্ষা করে যেতে হচ্ছে কাজে। অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রতিদিন জ্বর, ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন লোকজন। বাইরে যেমন ঘরেও তেমন গরম। গবাদিপশুরাও তীব্র গরমে পানিতে ভিজতে দেখা গেছে। শুক্রবার ও শনিবারে ভর দুপুরে জামালগঞ্জের সিএনজি ও রিক্সা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় গাড়িতে যাত্রী নেই বললেই চলে। কমরেড তারেক আল মইন জানান, তীব্র গরম বাড়ার কারনে লেগুনা, সিএনজিতে যাত্রী চলাচল অনেক কমে গেছে। পরিবহন শ্রমিকরা আয় রোজগার না করতে পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। জামালগঞ্জের রহিম আলী বলেন, যে গরম পড়ছে খালি গায়ে ঘর ছেড়ে গাছ তলায় এসে শরীর জুড়িয়ে নিচ্ছি। এমন গরম আর দেখিনাই। রিক্সা চালক আইয়ুব আলী বলেন, মারাত্বক গরম রিক্সা চালাইতে শরীর মানেনা। একটু পর পরই পানি খাই, বিশ্রাম নেই। আমরা গরিব মানুষ কাম না করলে পেট চলতো না। যত কষ্টই হোক কাজ করা লাগে। গরিবের গরম নাই। জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণী শিক্ষার্থী তাসনিম আলম চৌধুরী বলে, গরমের কারনে স্কুলে যেতে ইচ্ছে হয়না। রোদের তাপ প্রবাহে বার বার পানি খেতে ইচ্ছে হয়। অনেক সময় শরীর ঘেমে দুর্বল হয়ে পড়ি। স্কুল কিছু দিন বন্ধ দিলেই আমাদের ভালো হতো। ফুটপাতে অনেক ব্যবসায়ীরা বলেন, গরমে মানুষ কম, বিকিও কম। লোকজন গরমের কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। গরমের কারনে উপজেলা নির্বাচনেও প্রার্থী সমর্থকরা সভা সমাবেশ ও গণসংযোগ করতে পারছেনা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন