জামালগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নে হটামারা গ্রামে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ২ ঘন্টার এই অগ্নিকান্ডে ৩৭টি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই সাথে পুড়ে গেছে বসত ঘরের নগদ টাকা,আসবাবপত্র ও শিক্ষার্থীদের বই খাতাসহ বিভিন্ন সামগ্রী। এতে আগুনের ভয়াবহ সবহারিয়ে নিস্ব হয়েছে ৩৭ পরিবার।
হটামারা গ্রামের আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ কাজল মিয়া বলেন, আগুন লাগার সাথে সাথে আমি মসজিদের মাইক দিয়ে ঘোষনা দেই। ঘোষনার সাথে সাথে পার্শবর্তী গ্রাম থেকে লোকজন এসে ২ঘন্টা চেষ্টা আগুন নিবাতে সক্ষম হয়।
একই গ্রামের শাহানেওয়াজ বলেন, আমাদের গ্রামের ৩৭টি ঘর পুড়ে একেবারে ছাই হয়ে গেছে। কোন কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নাই। এলাকাবাসী এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে না নিলে পুড়ো গ্রামটি পুড়ে ছাই হয়ে যেতো।
সোমবার ১টায় হটামারা গ্রামের সামছুল হকের বাড়ী থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফেনারবাক ইউপি চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার ও ইউপি সচিব অজিত কুমার রায় ঘটনাস্থলে যান। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কুমার তালুকদার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে থাকার প্রতি¯্রােতি দেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইলের মাধ্যমে সংবাদটি জানান। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান দুপুর ১টায় সামছুল হকের বসত ঘর থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মাঝে আগুন গ্রামের সবকটি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় দুইকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান। গ্রামের ও এলাকার লোকজন সেলু মেশিনে ২ ঘন্টা পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে পুড়ে ৩৭টি পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ^জিত দেব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: এরশাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ^জিত দেব মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়া ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে মাঝে চাল ও কম্বল বিতরন করেন। তিনি আরো বলেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন