দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল করে দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল ১০টায় দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিদ্যালয় থেকে মিছিল বের হয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসময় অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানান শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি জানতে পেরে সহকারী কমিশনার ভূমি ফয়সল আহমদ ছাত্রদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদেরকে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ক্লাসে ফিরে আসতে বলেন। পরে এ আশ্বাসে ওপর ভিত্তি করে বিক্ষোভ স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শাখাওয়াত উল্লাহ মারুফ।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শাখাওয়াত উল্লাহ মারুফ শুধু এই ঘটনা নয় ক্লাসেও ছাত্রীদের মা-ডেকে গায়ে হাত দিয়ে আদর করে। তিনি বাজারের একটি বাসায় প্রতিদিন সকালে ও বিকালে ছাত্রীদেরকে প্রাইভেট পড়াতেন। অন্য ছাত্রীদের চলে যেতে বলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে থাকতে বলেন তিনি। সবাই চলে যাওয়ার পর শিক্ষক শাখাওয়াত উল্লাহ মারুফ। জোরপূর্বক ওই ছাত্রীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে ওই ছাত্রী কৌশলে ঐ কক্ষ থেকে বের হয়ে বিষয়টি তার সহপাঠী ও পরিবারের লোকজনকে জানায় ভুক্তভোগী। পরে তারা বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবগত করেন। প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিলেও ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
পরে পুরো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষকের অনৈতিক ও যৌন হয়রানির কথা জানাজানি হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
পরে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে শিক্ষকের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, ঘটনাটি ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা বিদেশ থেকে ফোন করে জানালে আমি ঐ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করি। তবে ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগ না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারছি না। এবিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত প্রকাশ করে তাদেরকে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ক্লাসে নিয়ে আসতে পারছি। তবে ভুক্ত ভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ না দেওয়া পর্যন্ত আইনানুগ ব্যবস্থা সম্ভব হচ্ছে না।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন