প্রতিদিন প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই পক্ষের মাঝে দফায়-দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় লায়েক মিয়া (৪০) নামের এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে থানা সংলগ্ন গণেশপুর খেয়াঘাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত লায়েক মিয়া শহরের মন্ডলীভোগ (জংলীগড়) এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র। ছাতক পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ডলীভোগ লাল মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লায়েক মিয়া ও এরশাদ আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এসব বিষয় নিয়ে সোমবার লায়েক মিয়া পক্ষের কাজল মিয়া ও এরশাদ আলীর নাতি শিবলু আহমদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিবলু আহমদকে চড়-থাপ্পড় মারে কাজল মিয়া। এ নিয়ে দু’দিন ধরে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজমান।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ ) রাতে তারাবি নামাজের সময় গণেশপুর খেয়াঘাটে লায়েক মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল কদ্দুছ শিপলুসহ তার সহযোগীরা।এতে গুরুতর আহত হন লায়েক মিয়া। প্রথমে তাকে ছাতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সিলেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন লায়েক মিয়া। এদিকে লায়েক মিয়ার উপর হামলার পর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। লায়েক মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ গ্রামে পৌঁছলে তার স্বজনরা এরশাদ আলী ও নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে ভাংচুর করে তাদের বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। থানা পুলিশ ছাতক বাজার থেকে এরশাদ আলী ও তাজ উদ্দিনসহ ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ছাতক থানার ওসি খাঁন মোহাম্মদ মাইনুল জাকির হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। হহত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযানের অব্যাহত আছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: আইটি ঘর