শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, বিপিএম(বার) পিপিএম বলেছেন, সামান্য কাঁঠাল নিলাম নিয়ে হত্যাকান্ড অত্যান্ত নিন্দনীয় এবং লজ্জাজনক ঘটনা। এই ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না৷ ঘটনার সাথে জড়িত কেউ দেশত্যাগ করতে পারবে না। যারা ঘটনায় কলকাঠি নাড়িয়েছে এদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
সোমবার(১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷
ডিআইজি বলেন, সমাজে কিছু লোক আছে সবসময় বিশৃঙ্খলা লাগিয়ে রাখতে চায়৷ এরা বিভিন্ন দাঙ্গার হোতা হিসেবে কাজ করে এদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি সমাজের ঘুষখোর সুদখোরদের তালিকাও হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা এলাকার শান্তি নষ্ট করতে চায় এদের প্রতিহত করতে হবে। অযথা কাউকে হয়রানি করা পুলিশের কাজ নয়। যারা মূলহোতা তাদের খুজে বের করে অতিদ্রুত গ্রেফতার করতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন ক্ষমতার সাথে অর্থ উপার্জন জড়িত থাকায় ক্ষমতাবানরা গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ব্যবহার করে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে ফায়দা লুটে। আমাদের সমাজে যারা মাদকের সাথে জড়িত তারা ওসি, এসপি ও রাজনৈতিক নেতার চত্র ছায়ায় কেউ না কেউর সেল্টারে এ কাজ করে থাকে। এদের প্রতিহত করতে হবে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: এহসান শাহের সভাপতিত্বে, সার্কেল এএসপি শুভাশীষ ধরের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার উজ জামান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আবুল, কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস,জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) খালেদ চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, শিমুলবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিন, পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার সহ এলাকার সাধারণ মানুষ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে গত শুক্রবার(০৭ জুলাই) জুমার নামাজের পর মসজিদে দান করা একটি কাঁঠাল নিলামকে কেন্দ্র করে হাসনাবাদ গ্রামের দ্বীন ইসলাম ও মালদার আলীর পক্ষের লোকদের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে গত সোমবার (১০ জুলাই) সকালে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।
এদিকে ঘটনার ৬ দিন পর গতকাল রোববার সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক ও বাবুল মিয়ার ভাই ফারুক আহমদ বাদি হয়ে রোববার মালদার মিয়ার পক্ষের ১৬৩ জনকে আসামি করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন