শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি : একটি মাত্র মুরগীর দাম ৫ হাজার টাকা ১০০ টাকা, তাও আবার ওজনে মাত্র ১ কেজি সমপরিমাণ এবং এটি একটি দেশীয় সাধারণ জাতের একটি মোরগী।বিষয়টি আশ্চর্যের, তবে সত্য। ঘটনাটি এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আজ শুক্রবার জুম’আ নামাজ শেষে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলার ইনাতনগর জামে মসজিদে এক নিলামে উল্লেখিত দামে মোরগীটি বিক্রী করা হয়।মুরগীটি মসজিদে দান করেন ইনাতনগর গ্রামের এক ব্যক্তি।পরে জুম’আর নামাজ শেষে তা জনসম্মুখে নিলামে ওঠে।
নিলামের শুরুতেই মুরগীটির দাম ২৫০ টাকা দিয়ে শুরু করেন ইনাতনগর গ্রামের ইউপি সদস্য আলী আহমদ। পরে নিলামে ১ হাজার টাকা দাম হাঁকান ইতালী প্রবাসী একইগ্রামের মিজানুর রহমান মিজান। এরপর মুরগীটির দাম হাঁকাতে থাকেন একই গ্রামের নরওয়েপ্রবাসী আলী নুর ও ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম।তারা দু’জন ক্রমাগত মুরগীর দাম হাঁকাতে থাকেন।সর্বশেষ ৫ হাজার ১০০ টাকায় মুরগীটি কিনে নেন ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম।
একটি মুরগী ৫১০০ টাকায় কেনার বিষয়ে আব্দুর রহিম জানান, মুরগী কেনা মুখ্য বিষয় নয়, মুলত রমযান মাসে মসজিদে দান করাই আমার মুখ্য উদ্দেশ্য।
ইনাতনগর গ্রামের ইউপি সদস্য আলী আহমদ গণমাধ্যমকে উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মসজিদের মোতাওয়াল্লী হাফিজ মাওলানা মোশাইদ আহমদ বলেন, আমাদের মসজিদে একটি মোরগী আজ শুক্রবার ৫১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ক্রেতা আব্দুর রহিম বাজার দরের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে মুরগীটি ক্রয় করেছেন মুলত মসজিদে আর্থিক সহায়তার জন্য। তিনি যে নিয়তে মুরগী ক্রয়ের নামে মসজিদে দান করেছেন তা যেন আল্লাহ কবুল করেন। তিনি বলেন, মসজিদে নিলামে মাঝে মাঝে এমনটি ঘটে থাকে। তবে তাতে জিনিসের বাজার মূল্যের চেয়ে মসজিদে দানের বিষয়টাই প্রাধান্য পায়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: আইটি ঘর