ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে যেকোনো ধরনের অঘটন ঘটানোর হুমকি দিয়েছেন ওই ফাউন্ডেশনের শাল্লা শাখার দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার আবু সুফিয়ান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বেশকিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পেয়ে গত কয়েকদিনে আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার সাংবাদিক আনোয়ার হোসাইন। সে ওই কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে বেশকিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করেন। এর পরই সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষেপে যান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শাল্লা উপজেলার সুপারভাইজার আবু সুফিয়ান। মন্দির ও মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষার আওতাভুক্ত বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে শিক্ষক কয়েকবছর যাবত অনুপস্থিত থেকেও বেতন নেওয়া,কেন্দ্র নেই এমন জায়গা দেখিয়ে কেন্দ্র তৈরি করে বেতন নেওয়া এরকম বেশকিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। এরপর উপজেলার সুপারভাইজারের দায়িত্বে থাকা আবু সুফিয়ানের সাথে কথা হলে তিনি কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য সাংবাদিকদের নিষেধ করেন। তিনি বলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য সাংবাদিকের কোন অনুমতি নেই! আপনারা কেন্দ্রে যাইবেন কেন? কেন্দ্রে যাওয়ার আইন কোথায় পেয়েছেন? অবশ্যই আইন দেখাতে হবে! অনুমতি ছাড়া কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে যেকোনো ধরনের অঘটন ঘটানোরও হুমকি দিয়েছেন তিনি। এদিকে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন সাংবাদিকেরা। নিয়মানুযায়ী সকাল ৮-১১টা পর্যন্ত কেন্দ্রে শিশুদের পাঠদান দেওয়ার কথা। কিন্তু ওই সময়ে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে শিক্ষকদের উপস্থিত পাওয়া যায়নি! এমনকি নির্দিষ্ট জায়গায় কেন্দ্রে না থাকা সত্ত্বেও বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় ওই ফাউন্ডেশনে কর্মরত থাকা স্টাফদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগও উটেছে। অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষক কেন্দ্রে উপস্থিত না থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাত নিয়ে আসছেন। অভিযোগ উটেছে ওই ফাউন্ডেশনের একজন শিক্ষক ঢাকা শহরে বসবাস করেও ভূয়া কেন্দ্র দেখিয়ে তিনি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। উপজেলার পাড়াখালি গ্রামে কেন্দ্রে দেখিয়ে শাল্লা সদরে বসবাস করে কেন্দ্রে অনুপস্থিত থেকেও বেতন-ভাতা নিচ্ছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল কেয়ারটেকারের স্ত্রী তৃষ্ণা আক্তার। তবে হুমকি দেওয়া সুপারভাইজার আবু সুফিয়ানকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি এমনকি তাকে তার অফিসেও না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি! এবিষয়ে কান্দিগাঁও গ্রামের অভিভাবক মুহিত মিয়া বলেন টানা একবছর যাবত না পড়িয়েই বেতন নেওয়া হচ্ছে। বাচ্চাকাচ্চাদের ঠিকমতো পড়ানো হচ্ছে না। তিনি বলেন এখানে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে সবকিছু খতিয়ে দেখা হউক। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনেক ভূয়া কেন্দ্রও রয়েছে বলে জানান তিনি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে উপজেলা মডেল কেয়ারটেকারের দায়িত্বে থাকা মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন সুপারভাইজার হুমকি দিবে কেন? কোনকিছু ঘটলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা দরকার। কেন্দ্রে শিক্ষক অনুপস্থিত থাকার বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুনামগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন আপনারা কেন্দ্র দেখতে যাবেন, কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। সে হুমকি দেবে কেন! তিনি বলেন সে এসব বলতে পারেন না। আমি এবিষয়ে শাল্লার সুপারভাইজারের সাথে কথা বলবো।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: জুনায়েদ চৌধুরী জীবন